বর্তমান সময়ে সমাজে পুরুষের শারীরিক অক্ষমতা বা বিভিন্ন সেক্সুয়াল ডিসফাংশন অনেক বৃদ্বি পেয়েছে। বয়স বাড়ার সাথে সাথে শারীরিক ও অনান্য সমস্যার কারনে সারাবিশ্বে প্রায় ১৬০ মিলিয়ন পুরুষ ইরেকটাইল ডিসফাংশন ও প্রিম্যাচিউর ইজাকুলেশন এর সমস্যায় ভূগছেন।
অনুমান করা হচ্ছে যে, বিশ্বব্যাপি ২০২৫ সালের মধ্যে এর প্রকোপটি প্রায় ৩২২ মিলিয়ন ছাড়িয়ে যাবে।
বিভিন্ন গবেষনায় তথ্যমতে ৩১ শতাংশ পুরুষ কোন না কোন মাএার ইরেকটাইল ডিসফাংশনে ভূগছেন এবং বেশীর ভাগ পুরুষই তাদের শারীরিক সমস্যা উপেক্ষা করেন কিংবা লজ্জার কারনে কারও সাথে শেয়ার করেন না।
কিন্তু কেউ কেউ আবার অবৈজ্ঞানিক ভেষজ পদ্বতি, বিপদজনক ঔষুধ বা ওয়ান টাইম ইনজেকশন বা অনলাইন থেকে কোন ডিভাইস কিনে ব্যবহার করছেন।
মেডিক্যাল সাইন্সে যে গুলোর বৈজ্ঞানিক ভিওি খুবই কম।একজন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া এই ধরনের অবৈজ্ঞানিক ভেষজ পদ্বতি বা অস্হায়ী চিকিৎসা অত্যন্ত ঝুকিপূর্ন এবং ক্ষতিকর।
ইরেকটাইল ডিসফাংশন কি বা কখন বলব ইরেকটাইল ডিসফাংশন?
শারীরিক মিলনের পূর্বশর্ত হচ্ছে পুরুষাঙ্গের যথাযথ উথ্হান অর্থাৎ সন্তোষজনক ভাবে শারীরিক সম্পর্ক করার জন্য পুরুষাঙ্গের উথ্হান একটি স্বাভাবিক আচরন।
একজন পুরুষ যখন যৌন সম্পর্ক করার জন্য মনোশারীরিক ভাবে প্রস্তুতি গ্রহন করে তখন যদি পুরুষাঙ্গ সঙ্গমের জন্য উপযুক্ত ভাবে উথ্হান না হয় তখন এটাকে ইরেকটাইল ডিসফাংশন বা লিঙ্গ উথ্হান জনিত সমস্যা বলে।
আমি যদি আরো সহজ ভাবে বলি, একজন পুরুষ ইন্টার কোর্স বা যৌন সম্পর্ক করার সময় যদি পুরুষাঙ্গ যতেষ্ঠ পরিমান শক্ত না হয় বা একেবারেই শক্ত না হয় কিংবা শক্ত হলেও কিছুক্ষন পরে আবার নরম হয়ে যায়, এই তিনটি বৈশিষ্ট্যের মধ্যে যে কোন একটি যদি কমপক্ষে ৩-৬ মাস ধরে প্রায় প্রতিবার সহবাস করার ক্ষেএেই ঘটে তখন অবশ্যই ইরেকটাইল ডিসফাংশন বা লিঙ্গ উথ্হান জনিত সমস্যা।
এছাড়া ও যদি নিয়মিত আপনার ও আপনার পার্টনার বা সঙ্গীর ইচ্ছার চেয়ে দ্রুত সময়ে বীর্যপাত ঘটে অর্থাৎ যৌন সঙ্গম শুরু করার আগেই কিংবা যৌন সঙ্গম শুরু করার এক থেক দেড় মিনিটের মধ্যে আপনার বীর্যপাত ঘটে তাহলে বুঝতে হবে আপনার যে সমস্যা টি হচ্ছে তাকে প্রিম্যাচিউর ইজাকুলেশন বলে।
কিভাবে একজন পুরুষের যৌন উওেজনা ঘটে?
পুরুষের যৌন উওেজনা একটি জটিল প্রক্রীয়া যার সাথে মস্তিস্ক হরমোন আবেগ স্নায়ু বা নার্ভ মাংসপেশী ও রক্তনালী জড়িত অর্থাৎ একজন পুরুষ মানুষ হিসাবে আপনি যখন যৌন উদ্দীপক কোন কিছু মনে মনে কল্পনা বা চিন্তা করেন, কোন কিছু দেখেন বা শুনেন কিংবা আপনার যৌন সঙ্গীকে স্পর্শ করেন তখন আপনার ব্রেইন স্টিমুলেটেড হয়।
এর ফলে হরমোন এবং কিছু নার্ভের সম্মিলিত ক্রীয়ার মাধ্যমে রক্তনালী গুলো প্রসারিত হয় এবং পুরুষাঙ্গে পর্যাপ্ত পরিমান রক্তপ্রবাহ বেড়ে যায়। যার ফলে পুরুষাঙ্গ বেলুনের মত ফুলে গিয়ে ইরেক্ট বা উথ্হান হয়। এর যে কোন একটিতে সমস্যা দেখা দিলেই ইরেকটাইল ডিসফাংশন বা লিঙ্গ উথ্হান জনিত সমস্যা হতে পারে।
ইরেকটাইল ডিসফাংশন কেন হয়?
ইরেকটাইল ডিসফাংশন সাধারনত মানসিক এবং শারীরিক যে কোন কারনেই হতে পারে তবে আজকাল অনেক গবেষনায় দেখা যাচ্ছে- প্রায় ৪৮ শতাংশ লিঙ্গ উথ্হান জনিত সমস্যার মূল কারন ভাসকুলার বা রক্তনালীতে পর্যাপ্ত রক্ত প্রবাহ না পাওয়া বা নার্ভ সাপ্লাই কম হওয়া।
এছাড়া ও শারীরিক কারন গুলোর মধ্যে অন্যতম হচ্ছে ডায়াবেটিক, পুরুষ হরমোন টেসটোসটেরন লেভেল কমে যাওয়া এবং প্রোলেকটিন বেড়ে যাওয়া।
অপুষ্টি, অতিরিক্ত চর্বির আধিক্য বা হাইপারলিপিডিমিয়া, সিডেনটারী লাইফস্টাইল বা অলস জীবনযাপন, ইনসুমনিয়া বা দীর্ঘদিনের ঘুমের সমস্যা, দীর্ঘমেয়াদী কোমড় ব্যথার কারনে নার্ভ এ চাপ লেগে থাকা এবং অনেক দিন যাবত ব্লাড প্রেসার, ডায়াবেটিক, প্রোস্টেড গ্ল্যান্ড ও মানসিক রোগের ঔষুধ সেবনের ফলেও ইরেকটাইল ডিসফাংশন বা উথ্হান জনিত সমস্যা হতে পারে।
৪০-৫০ বছর বয়সের পরে কেন ইরেকটাইল ডিসফাংশন বেশী হয়?
অনেক গবেষনায় দেখা গেছে, ৪০ বছরের পরে ৪০ শতাংশ, ৫০ বছরের পরে ৫০ শতাংশ এবং ৬০ বছরের পরে ৬০ শতাংশ পুরুষের ইরেকটাইল ডিসফাংশন বা উথ্হান জনিত সমস্যায় ভূগে থাকেন।
এর কারন মূলত দুটি- নাম্বার ওয়ান পুরুষ হরমোন টেসটোসটেরন কমে যাওয়া এবং দ্বীতৃয়ত পুরুষাঙ্গের রক্তনালীর ভিতরে চর্বি জমে গিয়ে পর্যাপ্ত পরিমান রক্তের ফ্লো বা সারকুলেশন হতে না পারা, যার ফলে ভাসকুলার ইরেকটাইল ডিসফাংশন সমস্যা দেখা দেয়।
অনিয়মিত যৌন সম্পর্কের ফলে কেন ইরেকটাইল ডিসফাংশন হয়?
আজকাল প্রায়শই আমরা আমাদের চেম্বারে কিছু রোগী পাচ্ছি যারা হয়তো তিন থেকে চার বছর বা তারও বেশী দিন যাবত কাজের প্রয়োজনে পরিবার ছাড়া প্রবাসে থাকেন।
বিদেশে যাওয়ার আগে তাদের কোন ধরনের উথ্হান জনিত সমস্যা ছিলো না।কিন্তু প্রবাসে থাকার এই দীর্ঘ সময় টাতে তারা ধর্মীয় পাপবোধ বা নৈতিক দিক কিংবা আর্থিক দিক চিন্তা করে কারো সাথে কোন যৌন সম্পর্কে মিলিত হয় নি।
দীর্ঘদিন পরে দেশে এসে এখন তার পার্টনারের সাথে নিয়মিতই লিঙ্গ উথ্হান জনিত সমস্যা ফেইস করছেন।
যেটা মূলত অনিয়মিত যৌন সম্পর্ক বা লং সেক্সুয়াল গ্যাপ কিংবা এসেক্সুয়ালিটির কারনে পুরুষাঙ্গের টিস্যু গুলোতে রক্তপ্রবাহ বা সারকুলেশন কমে গিয়ে ইরেকশনের সাথে রিলেটেড মাংসপেশী গুলো দুর্বল হয়ে যাওয়ার ফলে ইরেকটাইল ডিসফাংশন হয়।
কিভাবে বা কি পরীক্ষার মাধ্যমে ইরেকটাইল ডিসফাংশন নির্নয় করা যায়?
আপনার বয়স যদি ৩৫-৪০ এর উপরে হয় এবং আপনি যদি নিয়মিত ইরেকটাইল ডিসফাংশন বা লিঙ্গ উথ্হান জনিত সমস্যা বা প্রিম্যাচিউর ইজাকুলেশনর সমস্যায় ভূগে থাকেন তাহলে কোন প্রকার চিকিৎসা নেওয়ার আগে অবশ্যই একজন বিশেষঙ্গ চিকিৎসকের পরামর্শে আপনার রক্তে টেসটোসটেরন ও প্রোলেকটিন হরমোন ঠিক আছে কি না তা দেখা নেওয়া উচিত।
এছাড়াও ডুপ্লেক্স স্টার্ডি অফ পেনাইল ভেসেলস কিংবা পেনিসের কালার ডপলার স্ক্যান পরীক্ষার মাধ্যমে রক্তপ্রবাহ বা নার্ভ সাপ্লাই ঠিক আছে কি না তা দেখে, যদি ভাসকুলার বা রক্তপ্রবাহ জনিত কারনে ইরেকটাইল ডিসফাংশন থাকে তাহলে সঠিক চিকিৎসা দেওয়া সম্ভব।
ইরেকটাইল ডিসফাংশন কি ভালো হয়?
সঠিক সময়ে রোগ নির্নয় করে যদি আপনি ইরেকটাইল ডিসফাংশন বা লিঙ্গ উথ্হান জনিত সমস্যার সঠিক চিকিৎসা না করেন তাহলে দীর্ঘস্হায়ী পুরুষত্বহীনতা বা পারমান্যান্ট ইমপোটেন্সী হতে পারে।
এছাড়াও দাম্পত্য কলহ সহ বিবাহ বিচ্ছেদ পর্যন্ত হতে পারে। কিন্তু বিশেষজ্ঞ চিরিৎসকের পরামর্শে যদি সঠিক সময়ে সঠিক চিকিৎসা নেয় তাহলে ইরেকটাইল ডিসফাংশন সম্পূন্নরূপে ভালো হয়।
ইরেকটাইল ডিসফাংশন এর আধুনিক চিকিৎসা কি?
আমাদের দেশে একটি প্রচলিত মিথ বা ভূল ধারনা আছে, ইরেকটাইল ডিসফাংশন বা যৌন অক্ষমতার কোন দীর্ঘস্হায়ী সমাধান নাই তবে সঠিক কথা হচ্ছে সম্পূর্ন কাটাছেড়া ছাড়া ব্যথামুক্ত ফোকাসড-শকওয়েভ থেরাপি ও মিনিমাল ইনভেসিভ পি-শট বা প্রিয়াপাস শট চিকিৎসার মাধ্যমে দীর্ঘস্হায়ী সমাধান সম্ভব।
ইরেকটাইল ডিসফাংশনের জন্য ফোকাসড-শকওয়েভ থেরাপি কিভাবে কাজ করে?
ফোকাসড শকওয়েভ চিকিৎসা যা একটি বিশেষ যন্ত্রের মাধ্যমে পুরুষাঙ্গের বাহির হতে সল্পমাএার (০.২৭ মিঃলিঃ জুল পার মিঃমিটার এর নীচে) অভিঘাত তরঙ্গ বা জলতরঙ্গ দেওয়া হয়। যা যান্তিক কিন্তু বৈদুতিক নয়।
চিকিৎসার এই পদ্বতিতে রক্তপ্রবাহ বৃদ্ধির ফলে শরীরের নিজস্ব পূর্নগঠন প্রক্রিয়াকে কাজে লাগিয়ে নতুন টিস্যু তৈরি করতে সাহায্যে করে পূর্নরায় লিঙ্গ উথ্হান হয়।
এই পদ্বতিতে আমরা যেকোন একজন রোগীর চিকিৎসার জায়গাটাকে প্রথমে পরিস্কার করে পুরুষাঙ্গের বেইজ, শেফট ও পেরোনিয়াল এরিয়াতে ফোকাসড শকওয়েভ বা জল তরঙ্গ দেই।
যার ফলে পুরুষাঙ্গের ওই এলাকাতে সাইটোকাইনেজ বা সাইটোকাইনেসিস বলে একটা কেমিক্যাল থাকে তখন শরীরের যে পার্ট এ শকওয়েভ দেওয়া হয় সেখান থেকে মস্তিস্ক পর্যন্ত স্টিমুলেশন যায়।
ব্রেইন বা মস্তিস্ক তখন আমাদের শরীরে থাকা এনজিওজেনিক ও নিউরোজেনিক গ্রোথফেক্টর যেমন- এপিথেলিয়াল নাইট্রিক এক্সাইড সিনথেস, ভেসেল এন্ডোথেলিয়াল গ্রোথফেক্টর (ভেএজাফ), সেল প্রোলিফারেটিং ফেক্টর এবং বিশেষ ধরনের স্টেম সেল রিলিজ করে।
ফলশ্রুতিতে, এনজিওজেনেসিস মানে নতুন ব্লাড ভেসেল বা রক্তনালী প্রসারিত হয়ে রক্ত চলাচল বহুলাংশে বেড়ে যায় এবং নিউরোজেনেসিস মানে নতুন নার্ভ টিস্যুগুলোকে রিপেয়ার করে এবং পুর্নরায় ইরেকশন বা লিঙ্গ উথ্হান হয়। যা পুরোপুরি নিরাপদ ও দ্রুত কার্যকর।
ইরেকটাইল ডিসফাংশনের জন্য পিশট বা প্লাজমা থেরাপি কিভাবে কাজ করে?
পিশট বা প্রিয়াপাস শট কিংবা প্লাজমা থেরাপি হলো একটি মিনিমাল ইনভেসিভ চিকিৎসা পদ্বতি। ১৯৮০ সাল থেকে বিশ্বের উন্নত দেশগুলোতে প্লেটলেট রিচ প্লাজমা বা পিআরপি চিকিৎসাটি শুরু হয়েছে।
গ্রীক দেবতার নাম অনুসারে প্রিয়াপাস শট বা পিশট এর নামকরন করা হয়েছে। যাকে গড অফ রিজেনারেটিভ পাওয়ার বলা হয়।
পিশট বা প্রিয়াপাস শট চিকিৎসাটি মূলত তিনটি ধাপে সম্পন্ন হয়। প্রথম ধাপে একজন দক্ষ ফ্ল্যাবটমিস্ট রোগীর হাত থেকে বিশেষ ধরনের এসিডি জেল টিউব বা পিআরপি টিউবের মাধ্যমে ২০ মিঃলিঃ বা পরিমান মত রক্ত নিয়ে সেন্টিফউজ মেশিনে প্রসেস করতে দেন।
ঠিক এই সময়ে রোগীর চিকিৎসার জায়গাতে এনাসথেটিক ক্রিম দিয়ে কিছু রেপিং করে রেখে দেন। পরবর্তিতে এনাসথেটিক ক্রিম পরিস্কার করে লোকাল এনাসথেটিক ইনজেকটেবল দেওয়া হয়।
সর্বশেষ রোগীর শরীরের প্লাজমা কে আলাদা করে ইনসুলিনের মাইক্রো নিডেল দিয়ে পুরুষাঙ্গের বিভিন্ন পয়েন্ট এ ইনজেকশন করে দেওয়া হয়। এই পুরো চিকিৎসা প্রসেসের জন্য সময় লাগে ৩০-৪০ মিনিট।
২১ দিন থেকে ৩০ দিন পর পর মোট ৩-৪ বার এই চিকিৎসা নিতে হয়। এটি একটি রিজেনারেটিভ চিকিৎসা পদ্বতি, যার ফলে পুরুষাঙ্গের টিস্যু গুলো রিপেয়ার বা রিজুভিনেট হয়।
পিশট ও ফোকাসড শকওয়েভ থেরাপির উপকারিতা কি?
ভাসকুলার বা রক্তচলাচল জনিত কারনে ইরেকটাইল ডিসফাংশন হলে পুরুষাঙ্গের রক্তনালী গুলো অনেক বেশী সংকোচিত হয়ে রক্তপ্রবাহ কমে যায়।
সেইক্ষেএে পিশট ও ফোকাসড শকওয়েভ থেরাপির মাধ্যমে পরুষাঙ্গে পর্যাপ্ত রক্ত সরবরাহ বেড়ে যায়, যার ফলে পূর্নরায় লিঙ্গ উথ্হান হয় এবং দ্রুতবীর্য পাতের সমস্যাও ঠিক হয়ে যায়।
নতুন রক্ত নালী তৈরি করতে এবং প্রসারিত করতে সাহায্যে করে। ডায়াবেটিক, উচ্চ রক্তচাপ, হার্টে রিং পড়ানো এবং কিডনি সমস্যার রোগীরা ও এই চিকিৎসা নিতে পারে।
সাধারনত বেশীর ভাগ রোগীর ক্ষেএে চিকিৎসা চলাকালীন সময়ে ভালো ফলাফল বা উপকার আমরা আশা করি কিন্তু কখনও কখনও কোন কোন রোগীর ক্ষেএে চিকিৎসা শেষ করার পরেও এটলিস্ট তিন থেকে চার মাস অপেক্ষা করতে হয় ভালো ফলাফল পাওয়ার জন্য।
এছাড়াও সঠিক লাইফস্টাইল, হেলদি ডায়েট বা খাদ্যাভাস এবং বিশেষ ধরনের কেগ্যাল বা পেলভিক ফ্লোর এক্সাসাইজ করে দীর্ঘমেয়াদী ভালো ফলাফল পাওয়া সম্ভব।